বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও তার চিকিৎসা নিয়ে ‘পরিকল্পিতভাবে সত্য গোপন করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এই সংগঠনটির মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ আবদুস সালাম লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া হাইলি এক্টিভ ডিফরমিং, রিমেটয়েড আর্থ্রাইটিস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এমতাবস্থায় তিনি জেলখানায় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় এবং স্বাভাবিক পরিবেশ না থাকায় উক্ত রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। আমরা মনে করি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য নিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, একাধিক রোগের জটিলতার কারণে বেগম জিয়ার হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলো সহ বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং তাতে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। শুধু তাই নয় জয়েন্টগুলো শক্ত এবং বাঁকা হতে চলেছে যা অচিরেই স্থায়ী রূপ ধারণ করতে পারে। ফলে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, ওঠাবসা এমনকি হাতে খাবার পর্যন্ত খেতে পারছেন না।
ড্যাবের মহাসচিব বলেন, এ কথা সবাই জানেন যে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়া গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। প্রথমবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কেনো আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন সে প্রশ্ন জাতির কাছে। তিনি সুচিকিৎসা পেলে এমন অবস্থা হতো না। সুতরাং তার চিকিৎসা নিয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য সত্য্যের অপলাপ মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর সাবেক প্রোভিসি ডা: এমএ মান্নান, ড্যাবের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ হারুন আল রশিদ, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা: এমএ সেলিম, ড্যাব নেতাদের মধ্যে ডা: মাজহারুল ইসলাম দোলন, ডা: কাকন, ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা: এরফানুল হক সিদ্দিকী, খালেকুজ্জামান দীপু, ডাঃ শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডাঃ শেখ ফরহাদ, ডাঃ শামসুল সহ অর্ধশতাধিক ডাক্তার।
Leave a Reply